এটি সম্পূর্ণভাবে একটি সহযোগিতামূলক বা অংশগ্রহণমূলক শিখন পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে অতি অল্প সময়ে অনেক বেশি পাঠদান করতে পারেন। এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দলে,বিভিন্ন রকম সমস্যা বা প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়। সমস্যা বা প্রশ্নগুলো ঐ দিনের পাঠ সংশ্লিষ্ট। দলগতভাবে প্রতিটি দল ঐ সমস্যা বা প্রশ্ন নিয়ে কাজ করার পর প্রতিটি দল থেকে বিশেষজ্ঞ কর্তন করে অন্য দলে প্রেরণের মাধ্যমে পুনরায় কার্যকরী দলগঠন করা হয়। এভাবে প্রথম দলে নিজ নিজ সমস্যা বা প্রশ্নের সমাধান বের করা বিশেষজ্ঞগণ দ্বারা যখন নতুন দল গঠন করা হয় তখন প্রতিজন বিশেষজ্ঞ তার বিষয়টি অন্যদের মাঝে বিতরণ করে সকল সমস্যা বা প্রশ্নের যথাযথ সমাধান বা উত্তর সবার মধ্যে সঞ্চালন ঘটানো হয়। এর ফলে শিখনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ, পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া,মতবিনিময় ইত্যাদি কাজও সম্পন্ন করা হয় এবং অল্প সময়ে অধিক পাঠও দেওয়া সম্ভব হয়।
চিত্রে ১৬ জন শিক্ষার্থীর শ্রেণিতে ৪ টি দল। প্রতিদলে সদস্য সংখ্যা ৪ জন। প্রথম বৃত্তে ক১, ক২, ক৩, ক৪ পুনর্গঠিত কার্যাকরী দল। এরকম প্রথম এবং পুনর্গঠিত ৪ টি দল দেখানো হল।