সমস্যা সমাধান এমন একটি পদ্ধতি যে শিক্ষক বিষয় সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরবেন। যা শিক্ষার্থীদের নিকট একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্নমুখী চিন্তার মাধমে সমস্যার সমাধান করবে। সমস্যা সমাধা্ন পদ্ধতি মূলত ব্রেইন স্টর্মিং,মাইন্ড ম্যাপিং এবং অবিরাম পদ্ধতিরসম্মিলিত নাম।
সমস্যা সমাধান পদ্ধতি দলভিত্তিক,জোড়ায় জোড়ায় এবং স্বতন্ত্রভাবে শ্রেণিকক্ষে পরিচালনা করা যায়। ছবি আঁকা,তালিকা তৈরি করা,শ্রেণিকরণ করা,পুনর্গঠন করা ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধান করবে। শিক্ষক সমস্যাগুলো শিক্ষার্থীদের নিকট তুলে ধরে প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের দলে ভাগ করবেন,অথবা জোড়ায় জোড়ায় ভাগ করে সমস্যার সমাধান করতে দেবেন। অর্থাৎ বিষয়বস্তু থেকে শিক্ষক কিছু চিন্তামূলক প্রশ্ন তৈরি করে শিক্ষার্থীদের দলভিত্তিক অথবা জোড়ায় জোড়ায় সমাধান করতে দেবেন। সমাধানের পর শিক্ষার্থীরা পোস্টার পেপার লিপিবদ্ধ করে শ্রেণি দলভিত্তিক উপস্থাপন করবে।
* সমস্যা সমাধান পদ্ধতির সুবিধা:
- সমস্যা সমাধান পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা এবং মুক্ত চিন্তার বিকাশ ঘটে।
- দলবদ্ধভাবে কাজ করার ফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে মাঝে পারস্পরিক সহযোগিতাবোধ,গণতাণ্ত্রিকতাবোধ এবং সহনশীলতার বিকাশ ঘটে।
- শিক্ষার্থীদের কাজের প্রতিফলন ঘটে।
- পারস্পরিক আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে কাজ করার ফলে বিষয়বস্তুর জটিলতা কমে যায়।
- শিক্ষার্থীদের পাঠের প্রতি আগ্রহী হয় এবং পাঠ তাদের নিকট আনন্দদায়ক হয়। * সমস্যা সমাধান পদ্ধতির অসুবিধা :
- সমস্যা সমাধান পদ্ধতি পরিচালনার জন্য অধিক সময়ের প্রয়োজন হয়।
- পারস্পরিক মতামতের গড়মিল হওয়ার ফলে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
- আলোচনা নির্দিষ্ট বিষয়ের বাইরে চলে যেতে পারে।
- দলে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা অধিক হলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে পারে।