আমাদের দেশের স্কুলের শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার সময় লক্ষ করা
যায় যে,শিক্ষার্থীরা মিশ্র ক্ষমতা সম্পন্ন। সম ক্ষমতা সম্পন্ন শিক্ষার্থী কিছু
কিছু নামী দামী ভাল স্কুলেই কেবল দেখা যায়। স্কুলের শিক্ষার্থীদের ধারণ ও গ্রহণ
ক্ষমতা বিচারে সাধারণত শিক্ষকেরা অতি অগ্রসর,অগ্রসর,পিছিয়ে পড়া এই ৩ ভাগে বিভক্ত
করেন ও শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। পাঠ পরিকল্পনা করে
থাকেন।
পাঠ পরিকল্পনা করার সময়ও এই ৩ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন,চাহিদার
নিরিখেই পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের মনোযোগী রাখা ও
করার জন্যই বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল শ্রেণি পাঠনায় ব্যবহার করেন। কিন্তু লক্ষ করা
যায় যে,শ্রেণিতে এমন কিছু শিক্ষার্থী থাকে যারা নাম,শারীরিক,মানসিক,অর্থনৈতিক,সামাজিক
কারণে শ্রেণির অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মতো শ্রেণিতে পঠন পাঠনের জন্য সৃষ্ট সুযোগ
সুবিধা থেকে সমানভাবে উপকৃত হন না। এই ধরনের শিক্ষার্থীদেরকে সুবিধা বঞ্চিত
শিক্ষার্থী বলা যায়।
যে সমস্ত কারণে শিক্ষার্থীরা সুবিধা বঞ্চিত হয়
সেগুলো নিম্নরূপঃ
v
কানে কম শুনা।
v
চোখে কম দেখা।
v
আকারে ছোট হওয়া।
v
আদিবাসী/উপজাতীয় হওয়া।
v
অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবার থেকে আসা।
v
সামাজিকভাবে অনগ্রসর সম্প্রদায়ভুক্ত
হওয়া।
v
অনগ্রসর এলাকার বাসিন্দা হওয়া।
v
শারীরিক প্রতিবন্ধিত্ব।